নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: কয়েক মাস ধরে সরবরাহ সংকটে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী রবি মৌসুমের শুরুতে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফলন নষ্ট হওয়ায় সবজির বাজারও চড়া। এর মধ্যে আলুর দামও বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক। গত তিনদিনের ব্যবধানে নিত্যসবজি পণ্য আলুর দাম কেজি প্রতি ৮ টাকা বেড়ে ৪৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রভাবে খুচরায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। নতুন মৌসুমের আলু বাজারে আসতে বিলম্ব হলে দাম আরো বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মোগরাপাড়ার চৌরাস্তার সবজির সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত চৌরাস্তার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ৪৪ টাকায়, যা শুক্রবারও ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তারও দুই দিন আগে একই মানের আলু বিক্রি হয়েছিল ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলুর মজুদ কমে আসায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা দাম বাড়িয়ে সরবরাহ করছেন। কোল্ডস্টোরেজ থেকে চাহিদা অনুযায়ী আলুর সরবরাহ হলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেশি দামে পণ্যটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার পাশাপাশি বিলম্বিত বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে অনেক জেলায়। পাশাপাশি আগাম জাতের রবিশস্যের আবাদ নষ্ট হওয়ায় দেশের বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে আলুর চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা আরো মনে করেন গত বছর যে পরিমাণ আলু মজুদ হয়েছিল চাহিদা তার চেয়ে বেড়ে গেছে এবার। মূলত অন্যান্য সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদার চাপ বেড়েছে আলুর ওপর। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের বন্যার কারণে এবার আলুর ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে বেড়েই চলেছে পণ্যটির দাম।
জানতে চাইলে চৌরাস্তার কাঁচা বাজারের মো. আবদুল মান্নান নিউজ সোনারগাঁ’কে বলেন, ঘূর্ণিঝড়সহ বিলম্বিত বৃষ্টিপাতের কারণে এ বছর আলুর ফলন দেরিতে আসছে। দুই সপ্তাহ আগেই নতুন মৌসুমের আলু আসার কথা থাকলেও এখনো আসেনি। এ কারণে কোল্ডস্টোরেজ থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। পুরোদমে নতুন মৌসুমের আলু না আসা পর্যন্ত আলুর দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বর্তমান মজুদে আরো কয়েক সপ্তাহ চলবে। এ কারণে আগামীতে আলুর দাম আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।